নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ::
অমাবস্যা তিথিতে সামুদ্রিক জোয়ারে গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো কক্সবাজারের দ্বীপাঞ্চল ও উপকূলীয় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে গতকাল জোয়ারের পানি বেশি। পানির তোড়ে কক্সবাজার ডায়াবেটিক পয়েন্ট হুমকির মুখে পড়েছে। সাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকায় বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া। আবহাওয়া বিভাগ ইতোমধ্যে উপকূলে ‘তিন নম্বর সতর্ক সংকেত’ প্রচার করেছে।
শনিবার উপকূলে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া। এ কারণে সাগরের জোয়ারের পানি ফুঁসে উঠেছে। ফলে উপকূল ও দ্বীপাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া সামুদ্রিক জোয়ারের পানি দুপুর নাগাদ পূর্ণ জোয়ারে পরিণত হয়। বাতাসের ফলে গতকাল সকালের জোয়ারের পানিও বেড়ে যায় অস্বাভাবিকভাবে।
সামুদ্রিক জোয়ারে গতকাল দুপুরে আরো এক দফা কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ির ঝাউবীথি প্লাবিত হয়ে যায়। জোয়ারের পানিতে একাকার হয়ে যায় সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট এলাকা। গতকালের সামুদ্রিক জোয়ারের পানির তোড়েও ডায়াবেটিক পয়েন্টের ঝাউবীথির বেশ কিছুসংখ্যক গাছ সাগরে ভেসে গেছে। জোয়ারের অব্যাহত ঢেউয়ে ডায়াবেটিক পয়েন্টটি তীব্র ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
অপরদিকে সামুদ্রিক জোয়ারে মহেশখালীর ধলঘাটা ও মাতারবাড়ি এবং কুতুবদিয়া দ্বীপেরও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম জানান, ধলঘাটার উত্তর সুতুরিয়া, বনজামিরা, সরইতলা ও মাতারবাড়ী ইউনিয়নের চাইল্যাতলী এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে।
দিবারাত্রি দুই দফার জোয়ারের পানি ফুঁসে উঠে এসব এলাকার বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। কুতুবদিয়া দ্বীপের বড়ঘোপ ও আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের তবলর চর, মুরালিয়া এবং কুমিরাছড়া দিয়েও সাগরের জোয়ারের পানি ফুঁসে ওঠে প্লাবিত করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
পাঠকের মতামত: